পরশুরাম সরকারি হাসপাতালের একমাত্র এ্যাম্বুলেন্সটি গত এক মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে জরুরী রোগীরা মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।


করোনা সংক্রমণকালে হাসপাতালের একমাত্র এ্যাম্বুলেন্সটি বিকল থাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।


সুত্র জানায়, পরশুরাম হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সটি ২৫ বছরের পুরনো। অধিকাংশ সময় এটি অকেজো থাকে। দুই লক্ষাধিক জনঅধ্যুষিত পরশুরামবাসীর একমাত্র ভরসা সরকারি হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সটি। প্রাইভেট একটি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও সেটি সবসময় পাওয়া যায়না।


জাহিদ হাসান নামের এক রোগি জানান, কয়েকদিন আগে গুথুমা গ্রামের সন্তানসম্ভবা নারীকে পরশুরাম হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। জরুরি বিভাগ থেকে হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট। প্রাইভেট একটি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও সেটি অন্য রোগি নিয়ে ফেনী চলে গেছে। প্রায় ২ ঘন্টা পর একটি সিএনজি করে ওই নারীকে ফেনী নেয়া হয়।


পরশুরাম পৌরসভার প্যানেল মেয়র রসুল আহমেদ মজুমদার স্বপন জানান, সোমবার সকালে সংকটাপন্ন এক রোগিকে ফেনী নিতে চাইলে জানানো হয় হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট।


তিনি বলেন, গত মাসিক সমন্বয় সভায় হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সটি মেরামতের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বলা হলেও এটি মেরামত করা হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, এ্যাম্বুলেন্সের চালক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি গাড়িটি চালান।


উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.আবদুল খালেক মামুন জানান, এ্যাম্বুলেন্সটি মেরামতের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে গাড়ির গ্যারেজ বন্ধ থাকায় এটি মেরামত করা যাচ্ছেনা।


পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াছমিন আক্তার জানান, এ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুত মেরামতের জন্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য জরুরি প্রয়োজনে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সটি যাতে ব্যবহার করা যায়, সেজন্য আমি এ্যাম্বুলেন্সটির মালিকের সাথে কথা বলে রেখেছি।