সরকারের নির্ধারিত মুল্যে টিসিবির সরবরাহকৃত খাদ্যপণ্য পাচ্ছে না নিম্ন আয়ের আগ্রহী মানুষ। এমন অভিযোগ করেছেন একাধিক ক্রেতা। অভিযোগ রয়েছে একই স্থানে বারবার বিক্রয়ের ফলে একই ব্যক্তি অথবা পরিবার বেশী সুবিধা পাচ্ছে। এর ফলে নাগরিকের সরকারি সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরী হচ্ছে।


আজ বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ষষ্ঠ ধাপের শেষদিনে শহরের মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে ও শহীদ মিনারের সামনে ভোগ্যপণ্য বিক্রয় করছে অনুমোদিত ডিলার মেসার্স মনসুর ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও বাবু ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। ভোগ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে ছোলা বুট, চিনি, ডাল ও ভোজ্যতেল।

টিসিবির পণ্য বিক্রয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছু কিছু ক্রেতার অসন্তোষ রয়েছে। রবিউল হক নামে এক দোকান কর্মচারী বলেন, একজন ব্যক্তি যদি বারবার নেয় তবে প্রতিদিনই লম্বা সারি তৈরী হয়। এতে অপেক্ষা করেও পণ্য পাওয়া যায় না।


রবিউল হক বলেন, একটা নিয়ম করা প্রয়োজন যেন একজন ব্যক্তি একবারের বেশী কিনতে না পারে।

খুচরা বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, টিসিবির পণ্য বাজারদর হতে কম মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। টিসিবির চিনি কেজিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রয় হলেও খুচরা বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ৬৫ টাকা। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মী মাইনুল রাসেল বলেন, অভিযোগ রয়েছে কয়েকজন মিলে টিসিবি হতে একই পণ্য কিনে পাইকারী দোকানে লাভে বেচে দিচ্ছে।

ডিলার হুমায়ুন কবির বলেন, একজন ব্যক্তি যেন বারবার কিনতে না পারে সেজন্য ক্রেতার নাম ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও কোনো ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার লাইনে দেখলে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার বিকালে শহরের পোস্ট অফিস রোডে সুলতাম মাহমুদ পৌর হকার্স মার্কেটের সামনে টিসিবির পণ্য বিক্রয়কালে ক্রেতার নাম নথিভূক্ত করতে দেখা যায়নি।

ক্রেতাদের অসন্তোষ ও ক্রেতা কার্ড প্রবর্তনের দাবী প্রসঙ্গে প্রসঙ্গে ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেন, এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। মন্ত্রণালয় হতে কোনো নির্দেশনা পেলে তা চালু করা যাবে।


একই মানুষ যেন বারবার না পায় অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সবার জন্য সমান যুযোগ নিশ্চিত করতে সুপারিশ করার সুযোগ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, এখন আমরা একটি প্রতিকূল পরিস্থিতি পার করছি। সবকিছু ঠিক হয়ে এলে টিসিবি এবং ও এমএস এর পণ্য বিক্রয় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কিছু সুপারিশ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করার পরিকল্পনা আছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী জানান, সকল মানুষের টিসিবির পণ্য ক্রয়ের সুবিধা নিশ্চিত করতে স্থান পরিবর্তন করে শহরতলীতে বিক্রয়ের বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে।