সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারির পরও কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরের বিশেষ ওএমএসের চাল এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের ঘটনা ঘটছে। গত বুধবার থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ১ লাখ ২১ হাজার ২৫৭ কেজি (প্রায় ১২১ টনের বেশি) চাল উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে গত শনিবার রাত থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত দেশের আট জেলা থেকে ২৫ হাজার ৮০০ কেজি (প্রায় ২৬ টন) চাল উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব ঘটনায় আটক হয়েছেন ১৮ জন। তাঁদের মধ্যে দুজন ক্ষমতাসীন দলের নেতাও রয়েছেন। দৈনিক প্রথম আলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।


করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে দরিদ্র মানুষকে সহায়তার জন্য বরাদ্দ সরকারি চাল আত্মসাতের ঘটনা কেন ঘটছে, তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।


আজ সোমবার ( ১৩ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুজিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত সচিব মো. তাহমিদুল ইসলাম ও যুগ্ম সচিব মো. হাবিবুর রহমান হোছাইনী।


এ ছাড়া এসব ঘটনায় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে বা কর্তব্যে অবহেলা থাকলে তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দিতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যসচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।


তদন্ত কমিটি গঠন–সংক্রান্ত আদেশে খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বা আটা বিক্রি ও বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং তদারকির সুস্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন বা কী কারণে এত ব্যাপকভাবে খাদ্যশস্য আত্মসাতের ঘটনা সংঘটিত হলো, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তদন্ত করে জরুরিভাবে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়।