করোনাভাইরাস'র সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে ধর্ম মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জুমার নামাজ আদায় করা হয়েছে। আজ শক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ১০টি মসজিদে ঘুরে দেখা গেছে, গণজমায়েত করে নামাজ করছেন মুসুল্লীরা।


উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের উত্তর ধনীকুন্ডা বাইতুল মামুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, করোনা সংক্রমণের বিষয়টি গ্রামের মানুষজন এখনও তেমন গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেনা। তিনি বলেন, গ্রামের মুসল্লিদের মসজিদে আসার ব্যপারে বিধিনিষেধ করলে তারা আক্রমণাত্মক আচরণ করে।


বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের উত্তর কেতরাঙ্গা আহমদিয়া জামে মসজিদের মুসল্লি এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রনি মজুমদার বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে মসজিদে মুসল্লি কম ছিল। অনেকে ঘরে নামাজ আদায় করেছে।


মির্জানগর ইউনিয়নের মধুগ্রাম জামে মসজিদের মুসল্লি ও ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি পাবেল হোসেন বলেন, আমাদের মসজিদে অন্য সবসময়ের মতই মুসল্লির উপস্থিতি ছিল।


একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে মির্জানগর ইউনিয়নের আশ্রাফপুর জামে মসজিদ, জয়ন্তীনগর জামে মসজিদ, মহেষপুষ্কুরনী জামে মসজিদ, মহেষপুষ্কুরনী মজুমদার বাড়ী জামে মসজিদেও।


ব্যতিক্রম চিত্র দেখা যায় পৌরসভার সলিয়া জামে মসজিদ ও পরশুরাম মডেল থানা জামে মসজিদে। এমনই পৌর এলাকার মসজিদগুলোতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ জন মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফেনী জেলার সহকারী পরিচালক নুরুল আবছার বলেন, আমরা জেলার সব মসজিদে মুঠোফোনে নির্দেশনাটি জানিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, শহরের অনেক মসজিদ যথারীতি নির্দেশনা মানলেও গ্রামে এটা অনেক জায়গায় অমান্য করেছে।


পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, গণজমায়েত করে যেকোন কাজ করলে এখন করোনা সংক্রমণ ছড়াতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। আমাদের সবার সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা খুবই জরুরী অন্যথায় আমাদের ভবিষ্যৎ এ ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হতে হবে


উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণরোধে গত সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাখাওয়াত হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ অনধিক পাঁচ জন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। বাইরের মুসল্লি মসজিদে জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।