করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। আর বাজার হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেখানে হাজার মানুষ প্রতিদিন ভিড় করেন। ফলে বাজরগুলোতে ভিড়ের কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তবে এর বিকল্প রয়েছে। বাজারটি যদি কোন উম্মুক্ত স্থানে বসানো যায়, দোকানগুলোর মধ্যে দূরত্ব রাখা যায়ম, তাহলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যেমন সম্ভব হবে, তেমনি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। আর এ ভাবনা থেকেই জনসাধারণের কথা চিন্তা করে পরশুরামের কাঁচা বাজার একটি স্কুলের মাঠে স্থানান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল।


আজ বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে পৌর মেয়র বলেন, করোনাভাইরাস'র সামাজিক সংক্রমণ ঠেকাতে জনসাধারণের কথা চিন্তা করে আমরা এ উদ্যেগ নিয়েছি। তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে এটি বাস্তবায়ন হবে। এজন্য ইতোমধ্যে আমরা মাইকিং করে জানিয়ে দিয়েছি।


মেয়র বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে এবং জনসমাগম এড়াতে আমরা ক্রেতা-বিক্রেতার নির্দিষ্ট অবস্থান নির্ধারণ করে দেব। এতে করে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।


পরশুরাম বণিক সমিতির সভাপতি আবু তালেব বলেন, আমরা জনসাধারণের কথা চিন্তা করে মেয়রের নির্দেশনাটি ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দিয়েছি। আগামীকাল থেকে পরশুরামে কাঁচাপণ্য এবং মাছ বাজারের পাইলট স্কুলের মাঠে পরিচালনা করা হবে।


উল্লেখ্য, পরশুরাম বাজারে গত কয়দিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে স্থানীয়ভাবে জনগণ বেশ উৎকন্ঠায় ছিল। এ ঘোষণা মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি মিলছে।