করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সরকারে পাশে থাকতে ফেনীতে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীরা ২০ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭শ ১৮ টাকা সহায়তা প্রদান করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) পর্যন্ত জেলা পর্যায় হতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালকের ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।


চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় শিক্ষক, কর্মচারীদের সহযোগিতা প্রসঙ্গে ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে জেলায় কর্মরত সকল সরকারি চাকুরীজীবী বৈশাখী উৎসব ভাতার ২০শতাংশ টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করেছেন। মন্ত্রণালয়ের আহবানের প্রেক্ষিতে স্বেচ্ছায় জেলায় ৬ উপজেলা ও জেলা অফিস মিলে সাত ইউনিটে কর্তব্যরত ৯ হাজার ৬শ ১জন জনবলের সবাই অংশগ্রহণ করেছে।


জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানান, ফেনী সদর উপজেলায় কর্মরত ৯শ ৬১ দিয়েছেন ৬ লক্ষ ৮ হাজার ১শ ৫০ টাকা। সোনাগাজীতে কর্মরত ৬শ ৭৩ জনের সহায়তার পরিমান ৪ লক্ষ ২ হাজার ২শ ৭ টাকা। দাগনভূঞা উপজেলায় কর্মরত ৭শ ১জন দিয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮শ ৮৬ টাকা। ছাগলনাইয়া উপজেলায় ৪শ ৬৩ জন দিয়েছেন ৩ লক্ষ ৩ হাজার ১শ ২ টাকা। ফুলগাজীতে ৩শ ৩৫ জন দিয়েছেন ২ লক্ষ ৫ হাজার ১শ ৫৮ টাকা। পরশুরামে কর্মরত ৩শ ৩জন দিয়েছেন ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৭শ ১৩ টাকা।


দাগনভূঞা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইমাম হোসেন বলেন, দুর্যোগের সময় প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব সরকারের পাশে থাকা। আমিসহ আমাদের সকলে এ সহায়তা কাজে অংশগ্রহণ করেছি।


বিরিঞ্চি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারাহ দিবা খানম বলেন, উৎসব ভাতার ২০শতাংশ হিসবে ৮শ ৭৫ টাকা জমা করেছি। তিনি বলেন, সম্ভাব্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াতে ও মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রত্যেকের সামর্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসা উচিত।


হাজী শাসছুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আশেক এলাহী বলেন, এটি মানবিক বিষয়। সারাবিশ্ব মহামারীতে আক্রান্ত। আমরা দায়িত্ব হিসেবে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি।


বিরিঞ্চি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ও প্রহরী জামাল দিয়েছেন ৩শ ৩০ টাকা। জামাল বলেন, সব মানুষ যেন খেয়ে বেঁচে থাকে তাই সহায়তায় অংশ নিয়েছি।