করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকতে সারাদেশের ন্যায় একদিনের বেতন দিচ্ছেন ফেনীর মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী।

আজ বুধবার (৮ এপ্রিল) ফেনীতে একাধিক সূত্র জানায়, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্কুল শিক্ষক-কর্মচারী নিজেদের আর্থিক সহায়তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালকের ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়েছেন।

চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় শিক্ষক, কর্মচারীদের সহযোগিতা প্রসঙ্গে ফেনী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সলিম উল্লাহ বলেন, করোনাভাইরাস রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সহায়তা বিষয়ে গতকাল অধিদপ্তর হতে অবহিত হয়েছি। এতে শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বেচ্ছায় একদিনের বেতন দিয়ে সরকারের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহী বিভিন্ন স্কুল নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দিয়ে স্লিপ ও দাতাদের নামের তালিকা উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রেরণ করবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ পূর্ণ তালিকা আমাকে বুঝিয়ে দেয়ার পর তা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। আগ্রহীদের আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে সহায়তা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।

ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নাথ বলেন, আমাদের স্কুলের ৩৪জন শিক্ষক-কর্মচারীর একদিনের বেতন ৩৬ হাজার ২শ টাকা জমা দিয়েছি। বিশ্বব্যাপী এ দুর্যোগকালে সবার উচিত দেশের স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো।

ফেনী সরকারি পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম জানান, স্কুলের ৩২ জন জনবলের পক্ষে ৩৩হাজার ৩০ টাকা জমা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মানবিক কারণে সবার দায়িত্ব পালনের সময় এসেছে।

ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, স্কুলের এমপিওভূক্ত ৩৫জন শিক্ষক কর্মচারীর একদিনের বেতন ২১ হাজার ৩শ ১৪ টাকা সহায়তা প্রদান করে চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে। এ মহামারী মোকাবেলায় প্রত্যেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসা উচিত।

এর আগে সরকারের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে প্রাথমকি শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা নূরুল ইসলাম জানান, সকলে বৈশাখী উৎসব ভাতার ২০শতাংশ টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করেছেন।

বিরিঞ্চি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারাহ দিবা খানম বলেন, উৎসব ভাতার ২০শতাংশ হিসবে ৮শ ৭৫ টাকা জমা করেছি। তিনি বলেন, সম্ভাব্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াতে ও মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রত্যেকের সামর্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসা উচিত।