করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অমান্য করে দোকান খোলা রাখা এবং অকারণে দোকানে অবস্থান করায় সোনাগাজীতে তিনদিনে ৪২জনের ৪১ হাজার ৪শ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) ১৪জন ব্যক্তিকে ১৩ হাজার ৪শ টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেব ।


এর আগে বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) একই অপরাধে ২১ জন ব্যক্তির ২১ হাজার ও শুক্রবার (৩ এপ্রিল) ৭জন ব্যক্তির ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও।


অজিত দেব জানান, আজ শনিবার বিকাল ৫টা হতে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার নুরানী বাজার, চরদরবেশের আদর্শগ্রামের রাস্তার মাথা, পূর্বধলী বাজার, চর লামছি বাজারসহ চরদরবেশ, চরচান্দিয়া, সোনাগাজী ও মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট-বড় বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।


তিনি জানান, জরিমানাকৃত ১৩ জনের মধ্যে ৭জন দোকানীকে নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় ৬ হাজার ৪শ টাকা ও অকারণে চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়া ৬ ব্যক্তিকে ৬ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। এছাড় ১জন ব্যক্তিকে জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত মটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।


ইউএনও জানান, সোনাগাজীর সকল ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে সরকারের জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


অজিত দেব বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি সোনাগাজীতে ১০টি টহল টিম গঠন করেছে। পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত টিমগুলো উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় নিয়মিত টহল দেবে।


এসময় উপজেলা প্রশাসন ও গঠিত টহল টিমকে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন ইউএনও।


উল্লেখ্য, ২৪ মার্চ ইউএনও স্বাক্ষরিত একটি জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঔষধের দোকান, কাঁচামাল ও মুদি দোকান ব্যতীত সকল দোকান ও বাজার বন্ধ থাকবে। এতে বলা হয় ঔষধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে এবং মুদি দোকান ও কাঁচামালের দোকান সকাল ৮টা হতে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। একইসাথে অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাফেরা না করে সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।