ফেনী জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত ৬৭জন নার্সকে পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) পরিধান ও কোভিড-১৯ রোগীর পরিচর্যা বিষয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) সকালে হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে তিন ধাপের প্রথম দিনে ২০জন প্রশিক্ষণ পেয়েছে।


হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবুল খায়ের মিয়াজির সভাপতিত্বে, আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন ভূঞার পরিচালনায় নার্স ও ৪ ড্রাইভারকে প্রশিক্ষণ দেন রিসোর্স পার্সন ডাঃ জি এস শামীম।


হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবুল খায়ের মিয়াজি বলেন, কোভিড-১৯ আমাদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা। তাই সম্ভাব্য রোগীদের চিকিৎসা পরিকল্পনায় একটু পরিবর্তন করেছি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল নার্সকে পিপিই পরিধান ও খোলা, গ্লাভস পরা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।


তিনি বলেন, বর্জ্য থেকেও সাংঘাতিক সংক্রমণ ঘটে যেতে পারে যদি তা যথাযথ ডিসপোজ করা না হয়। তাই এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।


হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, তিন ধাপে সকল নার্সকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। আজ ছিল প্রথম ধাপ। নার্স ছাড়াও ৪ ড্রাইভারকে কোভিড-১৯ রোগী বহনে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।


তিনি জানান, এর ১২ জন নার্স, ৩ জন আয়া, ৩ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ৩ জন নিরাপত্তারক্ষী ও ৩ জন এ্যাম্বলেন্স ড্রাইভারে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১০ জন মেডিকেল অফিসার করোনাভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।


তিনি জানান, হাসপাতালে দুজন রিসোর্স পার্সন রয়েছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুজন ডাক্তার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন।


প্রশিক্ষক ডাঃ জি এস শামীম বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের কিভাবে চিকিৎসা ও সেবা দিতে হবে তা আজকের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শেখানো হয়েছে।
তিনি জানান, তাদের বলা হয়েছে দেশের এ দুর্যোগ মুহূর্তে আমরাই সৈনিক। করোনার বিরুদ্ধে দেশ রক্ষায় আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। দেশের মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, আমাদের পিছু হটার সুযোগ নেই।


প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সদের একজন মোছাম্মৎ মোমেনা বেগম। প্রশিক্ষণ সম্বন্ধে তিনি বলেন, আমরা ছয় স্তরে হাত ধুবো, কিভাবে পিপিই পরতে হবে কিভাবে খুলতে হবে, রোগীর কি লক্ষণ দেখলে আমরা বুঝবো তিনি করোনা আক্রান্ত, রোগীকে কিভাবে খাওয়াতে হবে, কিভাবে গ্লাভস পরবো এবং কিভাবে ডিসপোজ করতে হবে তা শেখানো হয়েছে।