করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে প্রয়োজনে আইনানুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ফেনীতে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম ও আইন অমান্য করা প্রসঙ্গে ২৮ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারির মেজর নাইম রেজওয়ান এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমরা কঠোরভাবে কাজ করবো। আমরা, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী একত্রিত হয়ে কাজ করছি।


সেনা কর্মকর্তা বলেন, শুরু থেকে ফেনীতে সেনাবাহিনীর একটি পেট্রোল কাজ করে আসছে। আজ সেখানে তিনটি পেট্রোল টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে। যেকোনো মূল্যে মানুষকে ঘরে ফেরাতে চাই আমরা। তিনি বলেন, প্রথমে তাদের অনুরোধ করা হবে। অনুরোধ না শুনলে কঠোরতা আরোপ করা হবে।


মেজর নাইম রেজওয়ান বলেন, ‘ফেনী সদরসহ জেলার বাকি পাঁচটি উপজেলাতেও টহল জোরদার করছে সেনাবাহিনী। শহর থেকে গ্রামীন জনপদেও জনসচেতনতায় কাজ করে যাবে সেনা সদস্যরা।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ঘোষিত ছুটির মেয়াদ বাড়ল ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে এবং নির্দিষ্ট কিছু সেবা প্রতিষ্ঠান ও দোকান-পাট ব্যতীত সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। প্রথম কয়েকদিন নির্দেশনা মানা হলেও গত কয়েকদিন ধরে এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা গেছে ফেনীর বিভিন্ন স্থানে।


বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) সেই চিত্র দেখা গেছে ফেনীতে। ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, দোয়েল চত্ত্বর, খেজুর চত্ত্বর ও বড় বাজারে জেলা প্রশাসেনের ম্যাজিষ্ট্রেটসহ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এসময় সেনাবাহিনী পথচারীদের ঘরে ফেরার জন্য অনুরোধ করেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ করে রাখার জন্য আহবান জানানো হয়। আইন অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় এসময় ভ্রাম্যমান আদালত এক দোকানদারকে ২’শ টাকা জরিমানা করে। একই দিন সেনাবাহিনীর অপর একটি দল ফুলগাজী উপজেলায়ও টহল দেয়।


মেজর নাইম রেজওয়ান বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে হোম কোয়ারান্টিনে থাকা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং মানুষকে সতর্কভাবে চলতে উদ্বুদ্ধ করা।


উল্লেখ্য, জনসমাগম কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করছে সেনাবাহিনী। সবাইকে নিতান্ত প্রয়োজন ব্যতীত বাসায় থাকার জন্য তাদের পক্ষ হতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এরই মধ্যে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তারা। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন সামগ্রীও বিতরণ করেছে সেনারা।