ফেনীতে আইসোলেশন ইউনিটে কর্তব্য পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে সম্ভাব্য কোভিড-১৯ আক্রান্তের চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবুল খায়ের মিয়াজী।


হাসপাতাল আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়ার পরিচালনায় ১০ জন নির্বাচিত ডাক্তারকে প্রশিক্ষণ দেন রিসোর্স পার্সন ডাঃ জি এস শামীম।


হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসায় তিন স্তরে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত সোমবার প্রথম ধাপে নির্বাচিত ২৭জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নার্স, এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারদের করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীর ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আজ দ্বিতীয় ধাপে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও শেষ ধাপে ৯ জন কনসালটেন্টকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

 

এর আগে সোমবার উদ্বোধনী দিনে প্রশিক্ষণ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন জানান, কোভিড-১৯ সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস সংক্রমিত অসুখ। তাই এর চিকিৎসা ও রোগীর পরিচর্যা ভিন্ন। এ জন্য প্রশিক্ষণ জরুরী। তিনি জানান, প্রয়োজনে আইসোলেশন ওয়ার্ড সংশ্লিষ্টদের আবারও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।


হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবুল খায়ের মিয়াজি বলেন, যদি আমরা কোভিড-১৯ রোগী পাই তবে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীর কাছে যারা যাবে, তারা কিভাবে নিজেদের আত্মরক্ষা করবে তা দেখানো হয়েছে। বিশেষ করে একজন ডাক্তার কিভাবে পিপিই পরবে, কিভাবে খুলবে, কিভাবে গ্লাভসসহ অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করবে তা আলোচনা করা হয়েছে।


ফেনীতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী প্রসঙ্গে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক জানান, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে এমন কেউ ফেনী জেনারেল হাসপাতালে সন্দেহপূর্ণ হননি। তাই কোনো রোগীকে কোভিড সাসপেক্টেড হিসেবে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়নি।


হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ১০জন মেডিকেল অফিসার ও ৯জন কনসালটেন্ট করোনাভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকবেন। একজন মেডিকের অফিসার ২৪ ঘন্টা কাজ করার পর ৭ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।


তিনি জানান এর আগে ১২ জন নার্স, ৩ জন আয়া, ৩ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ৩ জন নিরাপত্তারক্ষী ও ৩জন এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছে।


প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসারদের একজন ডাঃ তাহসিন নূর অমি। প্রশিক্ষণ বিষয়ে তিনি বলেন, মূলত পিপিই পরিধান বিষয়ে জানানো হয়েছে। একজন রোগী শ্বাসকষ্ট নিয়ে এলেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ না ভেবে লক্ষণগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।