সরকার নির্ধারিত মূল্যে ফেনীতে টিসিবির পণ্য পাচ্ছে ক্রেতারা। আজ মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে শহরের গুদাম কোয়ার্টার এলাকা ও ট্রাংক রোডে দ্বিতীয় দিনের মত ভোগ্যপণ্য বিক্রয় করছে অনুমোদিত ডিলার মেসার্স মনসুর ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও বাবু ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। ভোগ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে চিনি, ডাল ও তেল।
মেসার্স বাবু ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সত্ত্বাধিকারী মোঃ হুমায়ুন কবির ভূঞা জানান, চলতি মাসে দ্বিতীয় ধাপে আজ দ্বিতীয় দিনে শহরের দুই স্থানে ১৩শ কেজি চিনি, মশুরের ডাল ৬শ কেজি, ভোজ্য তেল ২ হাজার লিটার বিক্রয় করা হয়েছে। তিনি বলেন, চিনি ও ডাল ৫০টাকা কেজি দরে এবং তেল লিটার প্রতি ৮০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।
ডিলারের পক্ষ হতে জানানো হয়, ক্রেতাদের সুশৃংখলভাবে অপেক্ষমান রাখতে সেনাবাহিনী ও র্যাবের দুটি দল কাজ করেছে। এছাড়াও পুলিশ বিভাগের পক্ষ হতে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শহরের মহিপাল ও রেল ক্রসিং এলাকায় সমপরিমাণ পণ্য নির্ধারিত দামে বিক্রয় করে ডিলার।
টিসিবির সেবা প্রসঙ্গে গতকাল ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেন, এখানে ক্রেতা সরকারকর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে নিত্যপণ্য হাতের নাগালে পাচ্ছে। তিনি জানান, যেখানে পণ্যের সংকট থাকবে সেখানে এ সরবরাহ ভোগ্যপণ্যের চাহিদা পূরণ করবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, তুলনামূলক কম মূল্যে টিসিবির এ সেবা অসাধু ব্যবসায়ীর কারনে যেন খাদ্যের কৃত্রিম সংকট হতে ক্রেতাকে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, বাজারে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, জনগণের দুর্ভোগ কমানো।
গুদাম কোয়ার্টারে টিসিবির পণ্যবাহী ট্রাক হতে ২ লিটার তেল কিনেছেন নির্মাণ শ্রমিক শরীফা খাতুন। তিনি বলেন, রাস্তা তৈরীর কাজে দিন হিসাবে কাজ করি। এখন কাজ বন্ধ তাই আয় নেই। কম দামে তেল পাওয়ায় এক কেজি আলু কিনতে পারবো।
উল্লেখ্য এর আগে ২৭ মার্চ ফেনীতে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হয়েছিল। টিসিবি ডিলার হুমায়ুন জানান, পরবর্তিতে যে কোনো সময় টিসিবির পণ্য আবারও পাওয়া যাবে তবে তা নির্দিষ্ট নয়।
ছবিঃ নজির আহম্মদ রতন