ফেনী শহরতলীর রাণীরহাটের একটি কমিউনিটি সেন্টার হতে শিবির কর্মী সন্দেহে ৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বাজারের হক কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত একটি সভা হতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সহায়তা তাদের আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে খবর পাই হক কমিউনিটি সেন্টারে শিবির কর্মীরা গণজমায়েত করে অনুষ্ঠান করছে। খবর পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই প্রায় ২শ মানুষ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ফেনী শহর শাখার ব্যানারে ‘নবীনবরণ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে। আমরা সেখানে গিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিবির কর্মীরা আমাদের উপর হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। ঘটনা সহিংসার দিকে মোড় নিলে আমি ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেনকে জানালে তিনি পুলিশ পাঠান। পরে পুলিশ এসে তাদের মধ্য হতে ৪৩ জনকে আটক করে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় উপস্থিত শিবিরের অধিকাংশ কর্মী পালিয়ে যায়। এছাড়া শিবিরের বিভিন্ন প্রচার ও প্রচারণাপত্র জব্দ করা হয়।
সোহাগ আরও জানান, তারা সেখানে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে প্রচারণা ও তরুণদের উদ্বুদ্ধ করছিল। এতে ফেনীর বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও জেলার বাইরের বিভিন্ন স্থান হতে শিবিবের কর্মীরা জমায়েত হয়েছিল। এ ঘটনায় পুলিশ ওই কমিউনিটি সেন্টারের ম্যানেজারকেও আটক করেছে। এ জমায়েতের পেছনে ইন্ধনদাতা হিসেবে কমিউনিটি সেন্টারের মালিক জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি দাবি করেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৩জনকে আটক করে দুই ভাগে থানায় নিয়ে আসে। এর মধ্যে আহতাবস্থায় ৩জনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আটককৃতদের বেশিরভাগ কিশোর ও তরুণ বয়সী। ছাত্র শিবিরের ব্যানারে চলতি শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি ও আলিম শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন তারা। তাদের একজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে যে শিবিরের অনুষ্ঠান হচ্ছে তা তিনি জানতেন না। এক বড় ভাইয়ের অনুরোধে সেখানে এসেছিলেন তিনি।